ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত সরকারের সৃষ্ট অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
ওই বিবৃতিতে কাশ্মীর উপত্যকা বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র। বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে ভারত ও পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান তার সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয় বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ওই বিবৃতিতে কাশ্মীর উপত্যকা বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছেন স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান তার সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে সে সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলের প্রশাসন ও জনগণ নিজেরাই নেবে, এ মর্মে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভারতের সংসদে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করে মোদি সরকার। ওই রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়েছে।
এ বিল পাসের পর এখন পর্যন্ত মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে কাশ্মীরের জনতা। এখনও চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করার পরও রাস্তায় নেমে এসেছে শত শত কাশ্মীরি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত পাঁচশরও বেশি কাশ্মীরিকে আটক করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এমনকি স্থানীয় নেতারাও আটক হয়েছেন। হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। সেখানকার মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ রয়েছে। চারজনের বেশি লোকের কোথাও সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ।
গতকাল ৩৭০ ধারা বাতিল ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে ভরসা দেন কাশ্মীরিদের।কাশ্মীরিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদ সামনে। সবাইকে শুভকামনা। জম্মু-কাশ্মীরে ঈদের সময় যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার। আসুন সবাই মিলে ভারতের সঙ্গে নয়া জম্মু-কাশ্মীর ও নয়া লাদাখ নির্মাণ করি।