নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষী দিতে ঢাকায় আসছেন দুই বিদেশি


নিউজ ডেস্ক  ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ৮:৫৭ : অপরাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় তিন বিদেশী সাক্ষীর আসার বিষয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন আদালত। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দুই সদস্য। তবে এফবিআই কর্মকর্তা কবে আসবেন তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।

বুধবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে ভিসা ও বিমানের টিকিট কেটেছেন রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের ওই দুই সদস্য।

এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশিকে দেশে আনার অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেন।

কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি এখতিয়ার বহির্ভূত। আমরা এই অনুমতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেছি।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। তিন বিদেশি সাক্ষীর মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআইয়ের; বাকি দুজন কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের কর্মকর্তা।

এ তিন বিদেশির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা আদালতে জমা দিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তবে বিদেশি সাক্ষী আনার বিষয়ে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ