১০ বছর বিনা বিরতিতে চাকরি করে কোনো নোটিশ ছাড়াই ৪০ প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নকর্মীকে কাজ থেকে বিরত রাখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগ। সে চাকরি ফিরে পেতে আবেদন মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়েও কোনো সুফল তাদের ভাগ্যে জুটেনি।
অবশেষে—ভিক্ষা করে টাকা জমিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। বিচারক শুনেছেন এবং চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের পুনর্বহাল করার আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
গতকাল রোববার (১৬ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমদ এবং বিচারপতি এম বশির উল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ রুল এবং এই নির্দেশনা জারি করেন।
জানা যায়—২০১১ সালে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে চাকরি দেয় চসিক। ১০৯ বছর চাকরি করার পর ২০২১ সালে কোনো নোটিশ ছাড়াই তাদের কাজ থেকে বিরত রাখে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। গত ৩ মে চসিক মেয়র এবং সচিবের কাছে চাকরি পুনর্বহাল করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানান এই প্রতিবন্ধীরা। এর আগে কয়েক দফায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানোসহ আইনি সহায়তা প্রদান করেন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, সব স্থানে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবন্ধীরা হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের পক্ষে রিটের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খালেদ সাইফুল্লাহ।
অ্যাডভোকেট খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, গতকাল মামলাটিতে প্রথম শুনানি হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আদালত প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নকর্মীদের আবেদনটি ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে তাদের চাকরিচ্যুতের বিষয়টি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন সময় তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এখন আদালতে নির্দেশে তাদের সে কথা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এসএস