অর্থনীতি ডেস্ক : একসপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় ক্রেতাদের মনে মিলছে স্বস্তি। বাজারে শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর থাকায় প্রতি কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা করে। অনেক সবজি ২০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে।
তবে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ অস্থির মুরগির বাজার। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। কয়েক দিন আগেও প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি। এ সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে কেজিতে দাম রাখা হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়।
বাজারভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আলু, দেশি পেঁয়াজ ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম কছুটা কমেছে।
আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার, চকবাজার কাঁচাবাজার ও দেওয়ানবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৩০-৫০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, টমেটো ৩৫-৪০ টাকায়, মুলা ২০-৩০ টাকায়, শালগম ৩০-৪০ টাকায়।
এছাড়া, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকায়, লাউ ৪৫-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকায়।
বাজারে আলুর দাম মানভেদে ৫ টাকা পযর্ন্ত কমেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০, রুই ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৪০ টাকা।
চিংড়ি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর দেশি শিং মাছ ৭০০ টাকা কেজি, কৈ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ কেজিপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা।
অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
এস এস/