চট্টগ্রামে চাল ও মুরগির দাম চড়া-অপরিবর্তীত শীতের সবজি


সকালের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ৩:৫৭ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে, চাল,মুরগি, দাম চড়া,শীতের সবজি

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের শহরাঞ্চলে কিছুটা কম থাকলেও গ্রামে গঞ্জে ঝেঁকে বসছে শীত। তবে এখনো কোন পরিবর্তণ আসেনি সবজির বাজারগুলোতে। বাজারে নতুন আলুর দেখা মিললেও দাম অনেক চড়া।

৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে। পাশাপাশি ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমের সরবরাহ বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর বক্সির হাট কাঁচাবাজার ও পটিয়া উপজেলার মুন্সেফ বাজারে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখে গেছে, শীত পড়তে শুরু করলেও এখনও বেশিরভাগ সবজির আগের মতোই দাম রয়ে গেছে। তবে কিছু কিছু সবজিতে কয়েক মাস ধরে যেমন চড়া দামে সবজি বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে কিছুটা কমেছে।

বাজারে সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে, গাঁজর ৭০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, বাঁধা কপি ৪০ টাকায় (প্রতি পিস মাঝারি), ফুলকপি ৭০ টাকায় (প্রতি পিস মাঝারি), মূলা ৪০ টাকায়, সাধারণ আলু ২৩ থেকে ২৫ টাকায়, বরবটি ৬০ টাকায়, বেগুন ৫০ টাকায়, টমেটো ১১০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, শসা ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, শালগম ৭০ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পটিয়া উপজেলাস্থ মুন্সেফ বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার সৌরভ দে। তিনি বলেন, শীত প্রায় চলে এসেছে তবু বাজারে সবজির দাম কমেনি। দুই-একটা ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম এখনও ৫০ টাকার বেশি।

অন্য বছরগুলোতে এ সময় সবজির দাম বলতে গেলে প্রায় অর্ধেক ছিল। গত পাঁচ/ছয় মাস ধরে অতিরিক্ত দামে সবজি কিনতে হচ্ছে আমাদের।

বক্সিরহাট বাজারে কথা হয় ক্রেতা নুর আজমের সাথে। তিনি বলেন, সবাই বলেছিল শীত পড়তে শুরু করলে এবং নতুন সবজি উঠলেই দাম কমে যাবে। কিন্তু এখনও চড়া দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে।

আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমেছে এ কথা ঠিক, তবে তা খুব বেশি কমেনি। অন্য বছরের তুলনায় এখনও বেশি দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

বক্সিরহাট কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন বলেন, গত পাঁচ/ছয় মাস ধরে সবজির যে দাম গেছে সেই তুলনায় সব সবজির দামই কিছুটা কমেছে। তবে অন্য বছরে শীতের শুরুতে যেমন বাজার থাকে সেই তুলনায় এখনও সবজির দাম বেশি।

পাইকারি বাজারে আমাদের বেশি দামে কেনা পড়ছে তাই খুচরা বাজারে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন সবজি উঠলে দাম আরো কমতে পারে।

অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিম এখন ১০৫ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতোই ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা, নাজিরশাইল চালে কেজি ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ২ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৬৮ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

এস এস/

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page