সকালেরসময় রিপোর্ট:: অস্ত্র এবং অন্যান্য অবৈধ মালামাল ধরা পড়লেও এই প্রথম ধরা পড়লো স্বর্ণ চোরাচালান। এসব চোরাচালানের সাথে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে মন্তব্য করেছেন পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। আজ (৪ মার্চ) সোমবার জেলা পুলিশ লাইন কনফারেন্স হলে গতকাল উদ্ধার হওয়া ৬শ পিস স্বর্ণের বার নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, স্বর্ণের বারগুলো আকাশ পথ নাকি নৌ পথে এসেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে এসব বার দুবাই থেকে এসেছে। গ্রেফতারকৃত দুই আসামি পেশাদার চোরাচালানের সাথে যুক্ত। তাদের সাথে আর কোথায় কোথায় যোগাযোগ আছে তা বের করার চেষ্টা চলছে। আমরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি। আশা করছি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে এই বিষয়ে আরো তথ্য পাবো।
মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন নিয়ে তিনি বলেন, গতকাল স্বর্ণের বারগুলো ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের যে স্থানে ধরা পড়েছে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। পার্বত্য এলাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগস্থল বারইয়ারহাট। এই এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা গেলে মহাসড়কে কোন ধরণের চোরাচালান সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল আবছার ভুঁইয়া (ডিএসবি), মিরসরাই সার্কেল অফিসার মফিজ উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার হোসেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (৩ মার্চ) মিরসরাইয়ে ৬০০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় স্বর্ণ কারবারের সাথে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া স্বর্ণ বহনকারীদের ব্যবহৃত বিলাসবহুল একটি পাজেরো জিপ (আউটলেন্ডার) জব্দ করা হয়েছে।