![](https://sokalersomoy.com/wp-content/uploads/2023/01/Photo_1645978595152_1.jpg)
![](https://sokalersomoy.com/wp-content/uploads/2023/01/Photo_1645978595152_1.jpg)
সরকারি অর্থ হরিলুটে সমাপ্ত ব্যাপক সমালোচিত রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান গাজী ওয়্যারস্ লিঃ এর প্রকল্প গাজী ওয়্যারস্ লিঃ শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছে বিএসইসি এবং গাজী ওয়্যারস্ কর্তৃপক্ষ।
চোখের সামনেই দূর্ণীতির হাজার প্রমাণ থাকলেও ইতিপূর্বে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসইসি হেড অফিসের ৩ টি তদন্ত টীম দফায় দফায় তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন, উপ-প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ গোলাম কবির গংদের দূর্ণীতি প্রমানিত হয়।
৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পের ২৫ কোটি টাকা হরিলুট করে বসানো অখ্যাত ওয়ার্কশপ হতে প্রস্তুতকৃত মেশিনগুলো বছর পার হতে না হতেই অকেজো হয়ে পড়ছে, ফ্লোর ও দেয়াল ফেটে গেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়–মূলত শুরু থেকেই অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করা প্রকল্পটির লোকাল এজেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারার, প্রিন্সিপাল, কনসালটেন্ট, সিভিল ঠিকাদার সবই অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়। এই বিষয়ে দেশের প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল সংবাদ প্রচার করলেও তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রকল্প গ্রহণের তোড়জোড় শুরু হয়। দূর্ণীতিবাজ পিডি ডিপিডি গংদের শাস্তি না দিয়েই প্রকল্প গ্রহণের কার্যক্রম দেখে চরম হতাশা ভর করেছে সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের মনে। এতো হতাশার মধ্যেও চুয়েট, আইইউটি, বিটাক প্রতিনিধি ও বিএসইসি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট কারিগরি কমিটির উপর আস্থা রাখতে চান অনেকেই।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে—ব্যাপক যাচাই- বাছাই করে কারিগরি কমিটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। দু এক দিনের মধ্যেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আশার সম্ভাবনা রয়েছে।হতাশ হয়ে অনেকেই ধারণা করছে যে, কারিগরি কমিটি পূর্বের ধারাবাহিকতায় একটা আই ওয়াস মাত্র।
তারা মনে করেন কারিগরি কমিটিও ম্যানেজড বা বায়াসড হয়ে যাবে বা চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করবে। অপরদিকে অনেকেই বিশ্বাস করেন কারিগরি কমিটির রিপোর্টে উঠে আসবে এতোদিনের অপ্রকাশিত সব দূর্ণীতির শ্বেত পত্র।
সকালের-সময়/ফোরকান