দেশে করোনায় আরো ১৬৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬ হাজার ৩৬৪


সকালের-সময় রিপোর্ট  ২৩ জুলাই, ২০২১ ৭:০৩ : অপরাহ্ণ

এক দিনের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু কিছু কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল (তার আগের ২৪ ঘণ্টায়) ১৮৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে মৃত্যু কমলেও এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৪ জন। গতকাল ছিল তিন হাজার ৬৯৭ জন।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৪৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৬৪ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ৩১.০৫ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫.৫০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৯৫ জন পুরুষ এবং ৭১ জন নারী। এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ১২ হাজার ৯৭১ জন ও নারী ৫ হাজার ৮৮০ জন। নতুন মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জন, চট্টগ্রামে ৩৩, রাজশাহীতে ৭, খুলনা ৩৩, বরিশালে ১০, সিলেটে ৮, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৬ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৮ হাজার ৮৫১ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ