পেট্রল ঢেলে রাজশাহী ও ফেনীর চার ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তের আগুন


নিউজ ডেস্ক  ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:৪২ : পূর্বাহ্ণ

ভোটের একদিন আগে রাজশাহীর তিনটি ও ফেনীর একটি নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে স্কুলের আসবাবপত্র। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুন দেয়া ভোটকেন্দ্রগুলো হলো, বাঘা উপজেলার পাকুরিয়া জোতনাশী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আড়ানী ইউনিয়নের জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিনের গনিপুর আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা জানান, জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অফিস কক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল ও আলমারি।

এ বিষয়ে জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন দেয় দুষ্কৃতকারীরা। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে আগুন দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বাইরে পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।

এদিকে আড়ানি ঝিরানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ জানায়, রাত ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে আগুন লাগে। অফিসের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই দুটি ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, বাঘা ও বাগমারায় নির্বাচনী কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ও অফিস সহকারীর কক্ষে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিসকক্ষের দুটি কম্পিউটার, ৭টি আলমারির মধ্যে দুটি শতভাগ পুড়ে যায়, ৫টি আলমারির কাগজপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া ২০টি চেয়ার, ২টি টেবিল, ২টি দরজা ও বই পুড়ে যায়। অফিসকক্ষের জানালার পাশ থেকে একটি পানির বোতলে পেট্রল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যে ভবনে কেন্দ্র হওয়ার কথা, সেটিতে আগুন দেওয়া হয়নি। পাশের ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনের ঘটনা তদন্তে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি ও তার সমমনা কয়েকটি দল। তারা নির্বাচনের আগের দিন ও ভোটগ্রহণের দিন হরতালের ডাক দিয়ে, দেশের জনগণকে এই ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ