নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় টাটা গাড়ীর বাংলাদেশি আমদানিকারক নিটল মটরস লিমিটেড চকরিয়া শাখা অফিসের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক বাড়ি ওয়ালা। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সুনিল কান্তি দাশ নামের এক ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত এক বছর ধরে চকরিয়া থানা এলাকার প্রবাসী সুনিল কান্তি দাশ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস পরিচালনা করে আসছে নিটল মটর্স লিমিটেড। একমাস আগে ভাড়া চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বাড়ির মালিক তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু নানা অযুহাতে বাড়ি ওয়ালাকে আরো এক মাসের চুক্তি করতে বাধ্য করে নিটল মটর্স এর চকরিয়া শাখার কর্মকর্তারা।
আগামী ৩১ মার্চ নতুন ভাড়া চুক্তি শেষ হবে। কিন্তু বাসা ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন ইস্যুতে সুনিলকে গাল মন্ধ করে প্রান নাশের হুমকি দেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তা। বাড়ির মালিক সুনিল কান্তি দাশ তার অভিযোগ পত্রে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন তারা একে অপরের যোগসাজসে আমার সাথে ও আমার পরিবারের সাথে অশোভন আচরন করে আসছে।
তারা বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন, তাদের হাত নাকি অনেক লম্বা-তাই তাদের কিছুই করতে পারবে না। তারা আমাকে প্রান নাশের ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি তাই আইনি আশ্রয়ের জন্য থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন, নিটল মটরস চকরিয়া শাখার সিনিয়র অফিসার আরমান হোসেন প্রকাশ এরশাদ (৩৫), শাখা ম্যানেজার জাহেদ হাসান (৩৮) ও শাখাটির আর এম শাখাওয়াত হোসেন (৪০)।
এদিকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত নিটল মটরস চকরিয়া শাখার সিনিয়র অফিসার আরমান হোসেন প্রকাশ এরশাদকে বার বার কল দেয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত ম্যানেজার জাহেদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকালের-সময়কে জানান– থানায় একটি অভিযোগ করেছিল সুনিল, এর পর থানা থেকে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে একটি মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডেকেছেন জানান জাহেদ।
আর এদিকে অভিযোগকারি সুনিল সকালের-সময়কে জানান–আমিও থানায় যেতে প্রস্তুত, অভিযুক্তরা মিমাংসা করার জন্য জোর লবিং চালাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিক কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এসএস/এমএফ