বিষয় :

প্রবহমান সুদৃশ্য ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদটি ৭ মার্চ উদ্বোধন করবেন এরদোগান


২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১২:১১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় বিশ্ব ডেস্ক:: আকাশ ছুঁই ছুঁই তাশামালিজা মসজিদের মিনার। মিনার থেকে ইস্তাম্বুলের মেঘমালা খুব কাছ থেকে দেখা যাবে। মনে হবে সুদীর্ঘ মিনারটি যেন আকাশকে আলিঙ্গন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বারান্দা ও জানালা দিয়ে পুরো ইস্তাম্বুল নগরীর দুপাশ দেখে নেয়া যায় এক নজরে। প্রবহমান সুদৃশ্য বসফরাস প্রণালীকে তখন খুব আপন মনে হয়। আগামী মাসে উদ্বোধন করা হবে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নির্মিত ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদটি। গত ছয় বছর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান এ মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আগামী ৭ মার্চ মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হবে। খবর তুর্কি প্রেসের। তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম তুর্কি প্রেস জানায়, ৬৩ হাজার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদ কমপ্লেক্সেটিতে ইসলামি ইতিহাস সংরক্ষক নয়নাভিরাম জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, মনোরম লাইব্রেরি, সুবিশাল কনফারেন্স হল, বিস্তৃত পার্কিং লটসহ নতুন নতুন বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে। আয়তনগত দিক বিবেচনায় এশীয় ও ইউরোপ অঞ্চলে এটিকে বলা হচ্ছে সর্ববৃহৎ মসজিদ।

বিগত প্রায় এক শতাব্দীতে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই তুরস্ক নির্মিত সর্ববৃহৎ মসজিদ। তুরস্কের বৃহত্তম মসজিদটি নির্মাণের তত্তাবধান প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই করেছিলেন, যা নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। দেশটির সেক্যুলারদের একটি অংশ রাষ্ট্রীয় টাকায় এত বড় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এরদোগানের সমালোচনায় লিপ্ত হন।

তাশামালিজার সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হওয়ায় মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে তাশামালিজা মসজিদ। মসজিদে সর্বমোট ছয়টি মিনারা রয়েছে। বড় মিনারা দুটির উচ্চতা ১০৭.১ মিটার যা মসজিদে নববীর মিনারা হতেও লম্বা। একটি বিশেষ তাৎপর্যের দিকে লক্ষ রেখে ১০৭.১ সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যার মাধ্যমে ১৭০১ সালের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

সেলজুকী সুলতান আলাব আরসালান ১৭০১ সালে মালাযিকারদের যুদ্ধে বাইজান্টাইনকে পরাজিত করেছিলেন। তুরস্কের সর্ববৃহৎ এ মসজিদটি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অন্যতম সফলতা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে এর জন্য অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। তুর্কি প্রেস।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ