চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেছে নেতাকর্মীরা। অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারায় বন্ধ রয়েছে ক্লাস কার্যক্রম।
বুধবার সকালে ক্লাস স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। বন্ধ শাটল ট্রেনও। শিক্ষক-শিক্ষার্থী না আসায় পূর্বনির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। যদি স্ব-স্ব বিভাগ কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে, তাহলে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারবে।
অবরোধকারীরা জানায়, কোন কারণ ছাড়াই সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবরোধ চলমান রয়েছে। তারা বলেন, আমাদের দাবি দ্রুতসময়ের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলমান থাকবে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এখনো সমাধান হয়নি। আজকে ক্লাস হওয়ার বিষয়েও কিছু বলতে পারছি না।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ এক নম্বর গেট থেকে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে আসেন। পথে মাজার গেট এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী গ্রুফের ৭/৮ জন কর্মী দেশীঅস্ত্রসহ মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের মারধর করে। ভাঙচুর করা হয় মোটরসাইকেলও।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা জিরো পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখে।
এসএস