বিষয় :

এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬১৮০৭ জন শিক্ষার্থী


সকালের-সময় রিপোর্ট ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:২০ : অপরাহ্ণ

করোনা মহামারীকালে আইন পরিবর্তন করে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত ফলে পাস করেছেন সবাই। এতে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের তিনগুণের চেয়েও বেশি।

গেল বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন, যার মধ্যে পাস করেছিল ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। শতকরা হিসাবে গতবছর পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গেল বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন, শতকরা হিসাবে ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, এবছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বেড়ে হয়েছে শতকরা ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সামনে থাকা বাটন চেপে এ ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে ২০২০ সালের এসএইচসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানেরা।

করোনা মহামারীকালে আইন সংশোধন করে এই ফল প্রকাশ উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গতকালই এক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। এবার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশিত হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল পাওয়া যাবে না।

উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা এবছর দিতে পারেনি পৌনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরে পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি কিংবা সমমানের ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসি কিংবা সমমানের ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে আইনে এর অনুমোদন না থাকায় পড়তে হয় জটিলতায়। পরে অধ্যাদেশ জারি করে ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে সংসদ অধিবেশন চলে আসায় আর অধ্যাদেশ জারি না করে আইন সংশোধন করেই বোর্ডগুলোকে বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের ক্ষমতা দেয়া হয়।

মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস কিংবা ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ