আন্দোলন করে ঝড় তোলার সক্ষমতা নেই বিএনপির–কাদের


নিউজ ডেস্ক  ১৪ মে, ২০২৩ ৬:১০ : অপরাহ্ণ

বিএনপির আন্দোলনের ঝড় তোলার সক্ষমতা নেই বলে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা রাজনৈতিক ঝড় তুলে শেখ হাসিনার সরকার পতনের কথা বলছে। বাস্তবতা হচ্ছে তাদের কোনো আন্দোলন করা, ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই বলেই আজকে গলাবাজি করে নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে চাচ্ছে।

রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে না- এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, রুখে দেবে সংকল্প ব্যত্যয় করে— এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নেব কারা রুখে দেয়। আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়। বিএনপির যে কোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব।

তিনি বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করা— এই প্রবণতা বিএনপির। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে— এমন অবান্তর ধারণা নিয়ে আছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সে কারণে দেশে শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করুক। আজকে দেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি। আজকে তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছে মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরিচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছে। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪/১৫টা দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন দুঃস্বপ্ন। কী কর্মসূচি দেবে তা ভেবে তারা দিশেহারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। তারা যতই হুমকি-ধমকি দিক, আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অবিচল আছি। ২০১৩/২০১৪ সালের মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কূটকৌশল নিয়ে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।

জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা দায়ের প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনো মামলা দায়ের করেনি। একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দকে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে আগেভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্চর্য দ্রুততার সঙ্গে মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ