বিষয় :

হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করছে সরকার


সকালের-সময় রিপোর্ট  ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ৬:৫৮ : অপরাহ্ণ

নীতিমালার পরিবর্তে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা করতে নতুন আইন করছে সরকার। এজন্য ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইন পাস হলে কোনো হজ ও ওমরা এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলেও বাংলাদেশে সেই অপরাধের বিচার করা হবে।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এতদিন হজ ব্যবস্থাপনা চলত একটা নীতিমালার মাধ্যমে। নীতিমালার মাধ্যমে চলার কারণে অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে অসুবিধা হত। ব্যবস্থা নিলে সংশ্লিষ্টরা আবার হাই কোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসত।

২০১১ সাল থেকে সৌদ আরব হজ ব্যবস্থপনাকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া আইন করে ফেলেছে। হজ ব্যবস্থাপনার সাথে আমাদের ইকুইপ্ট করতে গেলে একটা আইনি কাঠামোর প্রয়োজন। ২০১২ সালে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা ছিল নীতিমালার পরিবর্তে আইন করার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সরকার হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সৌদি সরকারের সাথে চুক্তি ও সমঝোতার ভিত্তিতে সে দেশের যে কোনো স্থানে হজ অফিস স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম নিতে পারবে।

‘আইনের অধীনে নিবন্ধন ছাড়া কাউকে ওমরাহ বা হজে কেউ পাঠাতে পারবে না। যদি কেউ এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম করে, তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ দিয়ে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পরে কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালে তবে ওই অপরাধ এই দেশে (বাংলাদেশে) হয়েছে বলে গণ্য করে এই আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে। এছাড়া হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে’ বলেও জানান আনোয়ারুল।

নতুন আইনে হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন খোয়ানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে’ বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

‘অনিয়মের জন্য পর পর দুই বছর ওয়ার্নিং দেয়া হলে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে। এবং হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে’ বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ