অনিয়ম–দুর্নীতির রমরমা হাট পাহাড়তলী ডিপিও অফিস!


সকালের-সময়  ২৮ মার্চ, ২০২২ ২:৪২ : অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়ম, দুর্নীতি, রমরমা ঘুষ বাণিজ্য, সেচ্চাচারিতা ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের মধ্য দিয়ে চলছে পূর্ব রেলের পাহাড়তলী ডিপিও অফিসের কার্যক্রম। এখানে বাম হাতের লেনদেন ছাড়া হচ্ছে কোনো কাজ। অফিসের ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হয় এটা কারও ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানে কর্মরত একটি সিন্ডিকেট যে যার মতো করে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা আদায় করছেন।

জানা যায়–ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না পাহাড়তলী ডিপিও অফিসের (চলতি দায়িত্ব) মীর মুহাম্মদ আলী। অনিয়ম, দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য, সেচ্চাচারিতা ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই আলীর বিরুদ্ধে। ডিপিও অফিসের চৌকাঠ পেরুলেই মীর মুহাম্মদ আলীর করা আইন মানতে হয় সেবা নিতে আসা পেনশন হোল্ডার,ও স্টাফদের। আর এ কারণেই ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত বিরোধও বেড়েছে বহুগুণ।

জানা যায়–মীর মুহাম্মদ আলী প্রতিটা ফাইলে তার একান্ত সহকারির মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন করে থাকেন। এবং তার সিন্ডিকেট দিয়েও হুমকি ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন। সিন্ডিকেটের মধ্যস্থতা ছাড়া ডিপিও অফিস পাহাড়তলীতে সরাসরি সেবা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্টাফ সকালের-সময়কে জানান–এখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে গেলে সাধারণ কর্মচারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ডিপিও সংক্রান্ত কাজ করতে গেলে মীর আলীকে ম্যানেজ না করলে মিলছে না সমাধানের নিশ্চয়তা। কর্মচারীরা ঘুষের টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে মীর আলীর নিয়ন্ত্রিত একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে লেলিয়ে দেওয়া হয় সেবা নিতে আসা স্টাফদের বিরুদ্ধে, আমরা মীর মুহাম্মদ আলীর উপযুক্ত বিচার চাই।

ভূক্তভোগী কর্মচারীরা আরো জানান– মীর মুহাম্মদ আলীর এ সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে থাকেন তার পছন্দের নিয়োগপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন নির্মল সেন নামের এক ব্যক্তিসহ তার সিন্ডিকেট চক্র।

মীর মুহাম্মদ আলীর বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে গত ২ ফ্রেবুয়ারী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন–ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর মোজাফফর আহামদ।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন–মীর মুহাম্মদ আলী ডিপিও চলতি দায়িত্ব পাহাড়তলীতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি, ও সেচ্চাচারিতা মূলক কাজ করে যাচ্ছে। সে যোগদানের পর বিভিন্ন ধরনের প্রতারনামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তার অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে কেউও কথা বললে তাকে হুমকি-ধমকি ও গায়েল করার অপচেষ্টা করে থাকেন। সেই পেনশন কেইস, বিল সেকশন ও সংস্থাপন থেকে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন। তার কারণে পেনশন হোল্ডারগণ ও স্টাফগন আর্থিক- শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও হুমকি ধমকির ব্যাপারে জানতে মীর মুহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকে জানান–আপনি দ্রুত অফিসে চলে আসেন, সরাসরি বসে কথা বললে ভালো হবে। আমার বিরুদ্ধে মোজাফফর যা করছে তার ফল ভালো হবে না। আপনি অফিসে না আসলে নিউজ করে দেন। দেখি ওরা আমার বিরুদ্ধে কি করতে পারে বলে লাইন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেনি।

মীর মুহাম্মদ আলীর আরো দুর্নীতির ফিরিস্তি আগামী পর্বে দেখুন…

এসএস/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ