বিষয় :

২৫ পয়সা কলরেট? মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় গ্রাহক !


২০ আগস্ট, ২০১৮ ১২:৪১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: সম্প্রতি মোবাইল কলরেট নিয়ে নতুন করে আবার কলরেট প্রকাশের পর মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সর্বত্রই এক আলোচনা, সর্বনিম্ন কলরেট (অননেট-একই অপারেটরের মধ্যে) ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৫ পয়সা হয়েছে। এ আলোচনায় উহ্য থেকে যাচ্ছে অফনেট (এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল) না থাকার বিষয়টি, যা আগে ছিল সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা। মোবাইল অপারেটরগুলো বলছে, নুতন এই নিয়মের ফলে কলরেট বাড়বে না, দীর্ঘ মেয়াদে মূলত গ্রাহকের কল খরচ কমবে।

নতুন নিয়মে অননেট কল ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা করা হয়েছে। জানা গেছে, এই ২৫ পয়সা কলরেট সিটিসেল টু সিটিসেল ছাড়া অন্য কোনও অপারেটরে ছিল না। কিছুদিন আগের একটি অননেটের তালিকা এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, ২৫ পয়সা অননেট কলের সর্বনিম্ন সীমা ধরে গ্রামীণফোনের অননেট কলরেট ছিল ৫৩ পয়সা, রবির ৪৩ পয়সা, বাংলালিংকের ৪৮ পয়সা আর টেলিটকের ৩৯ পয়সা।

প্রসঙ্গত, নতুন হার অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরগুলো ৪৫ পয়সার নিচে কোনও কলরেট নির্ধারণ করতে পারবে না। এই কলরেট সর্বোচ্চ ২ টাকা পর্যন্ত হতে পারবে। এর আগে বিটিআরসির নির্ধারণ করে দেওয়া সর্বনিম্ন অননেট চার্জ প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা ও অফনেট ছিল ৬০ পয়সা। সর্বোচ্চ চার্জ প্রতি মিনিট ২ টাকা। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এই সীমার মধ্যে থেকে নিজেদের অপারেটরের চার্জ নির্ধারণ করেছে। ফলে একেক অপারেটরের চার্জ ছিল একেক রকম।

একাধিক অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকার এখন যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, অপারেটরগুলোর কেউ আগে থেকেই সেই সীমার বেশি নিচ্ছিল, কেউ কেউ আবার সীমার কাছাকাছি নিচ্ছিল। এখন থেকে আর এসব থাকছে না। অপারেটরগুলো বলছে, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে গ্রাহকরা সুফল পাবেন। জানা গেছে, অননেট কলের সর্বনিম্ন সীমা ২৫ পয়সা হলেও গ্রাহকদের গড় খরচ হতো ৩৯-৪০ পয়সা। আর অন্য অপারেটরে (অফনেটে) কলের সর্বনিম্ন সীমা ৬৫ পয়সা হলেও গ্রাহকের খরচ হতো ৮৯ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪০ পয়সার মতো।

নতুন কলরেট চালুর ফলে একই অপারেটরে কলের খরচ ৫ পয়সা বাড়লেও অন্য অপারেটরে কলের ক্ষেত্রে খরচ কমবে ৪৫ থেকে ৫০ পয়সা। মূলত গ্রাহক সংখ্যায় ছোট অপারেটরের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে অপারেটরগুলো। রবির হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলেন, মোট কলের মধ্যে অননেট হলো ৬৫ এবং অফনেট হলো ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে দামের পার্থক্য ছিল ১৪৫ শতাংশ।

নতুন কলরেটের কারণে কলরেট কমবে প্রায় ৬৫ শতাংশ। অফনেট ও অননেটের মধ্যে দামের যে বৈষম্য ছিল তা দূর হবে। এমএনপি চালু হলে গ্রাহক আরও উপকৃত হবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন নিয়মেও ১ সেকেন্ড, ১০ সেকেন্ডে পালস থাকবে। দেখা যাবে, ৫ সেকেন্ডেও পালস দেওয়া হচ্ছে। কলরেট কমলে পালস সিস্টেম গ্রাহককে সুবিধা দেবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ধরা যাক, কোনও গ্রাহক আগে ১০ টাকায় ১৫ মিনিট ভয়েস কল পেতেন।

নতুন নিয়মে দেখা গেল, তিনি ১২-১৩ মিনিট পাচ্ছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, ৩-২ মিনিট কমে গেছে ভয়েস কলের লিমিট। কিন্তু মিনিটের খরচও তো কমে যাচ্ছে। আবার অফনেট না থাকায় আরও কম খরচে অন্য অপারেটরে কল করা যাচ্ছে। এতে প্রকারন্তরে গ্রাহকেরই লাভ হবে। তিনি মনে করেন, কল খরচ বা ব্যয় উপভোগ করতে হলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অন্তত মাস ছয়েকের মধ্যে একটি ‘সিগনিফিকেন্ট’ চিত্র গ্রাহকের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ