বিষয় :

নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে—ইসি রাশেদা


নিউজ ডেস্ক  ২১ মে, ২০২৩ ৫:৩০ : অপরাহ্ণ

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাবে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমেনি, বরং আগের চেয়ে বেড়েছে।

রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইসি রাশেদা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন বন্ধ করার জন্য প্রধান অনুচ্ছেদ ৯১-এর ‘ক’। একটা নির্বাচনে তিনটা পর্যায়- নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী। এরর মধ্যে ৯১-এর ‘ক’ হচ্ছে নির্বাচন পূর্ব থেকে নির্বাচন চলা পর্যন্ত। ঐখানে কমিশনকে একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতার আওতায় কোনো অনিয়ম বা কারচুপি কমিশনের নজরে এলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা আইনেই আছে।

তিনি আরো বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এবং ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ আসে। কিন্তু এসব অভিযোগের ক্ষেত্রে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নাই। কমিশন শুধু ফলাফলটি গেজেট করে দিতে পারে। এতে কমিশনের প্রতি অভিযোগকারীর অনাস্থা তৈরি হয়।

সাবেক এ জেলা জজ বলেন, একজন প্রার্থীর কথা আমলে নেয়া উচিত। এই চিন্তা থেকেই আমরা নতুন প্রস্তাবনা পাঠালাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা পাঠালাম ৯১-এর ‘ক’, এর সঙ্গে ‘ক’এর ‘ক’ বলে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করতে হবে। সেখানে কোনো অনিয়মের অভিযোগ এলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশন স্থগিত রাখবে।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের সংশোধনীতে ছিল- তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে কমিশন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ সেখানে পুরো আসনের শব্দটা বাদ দিয়ে আংশিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আগের চেয়ে কমেনি।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ