বিষয় :

দ্রুত সময়ে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে কাদেরকে


৪ মার্চ, ২০১৯ ৩:২১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠীর পরামর্শে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে (সম্ভব হলে এক ঘণ্টা) সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠীর পরামর্শে তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুর নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের একটি চিকিৎসক প্রতিনিধি দলও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন। এদিকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে দুপুর একটার দিকে ঢাকায় পৌঁছান ডা. দেবী শেঠী। দুপুর দেড়টার দিকে কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে বিএসএমএইউ-তে প্রবেশ করেন দেবী শেঠী। এসময় ডা. দেবী শেঠীকে বিএসএমএমইউ-তে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুণ।

এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আশা করছি এমন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাল্লাহ। সর্বোপরি আমরা আশাবাদী।

এর আগে রোববার (৩ মার্চ) রাতে সংবাদ সম্মেলনে ডা. কনক কান্তি বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার চিন্তা করা হলেও পরে সেখান থেকেই ঢাকায় আসা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আপাতত সিঙ্গাপুর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

রোববার ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। প্রথমে আইসিইউতে নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ২ নম্বর বেডে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page