সকালেরসময় ডেস্ক:: জামিনের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। এসব যুক্তি বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী বলছে, সব যুক্তির বিরুদ্ধে উত্তর প্রস্তুত রেখেছেন তারা। আর সেই সব উত্তর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শুনানির সময় হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনের অনুলিপি দুদকের আইনজীবীকে দেন। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে কি আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওইদিন আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী ও সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, ‘৩২টি গ্রাউন্ডে জামিন আবেদনটি করা হয়েছে। মূল আবেদন ৪৮ পৃষ্ঠার হলেও আনুষঙ্গিক নথিপত্রসহ জামিন আবেদনটি মোট ৮৮০ পৃষ্ঠার।
এ আবেদনে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জাটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিকস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রণ স্বল্পতায় ভুগছেন। তাছাড়া ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক এসব জাটিলতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আবেদন জানানো হয়। জামিন আবেদনের ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এ আবেদনের পর আদালত শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ইচ অ্যান্ড এভরি পয়েন্টে আমাদের উত্তর প্রস্তুত করা হয়েছে। রোববার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জামিন শুনানির সময় প্রত্যেক যুক্তির উত্তর উপস্থাপন করা হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন।
একই সঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন খালেদা। ওই দিন আদালত আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি আদালত শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের নথি তলব করেন। এছাড়া জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।