চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরির আউটার স্টেডিয়াম দখলদারমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং বলেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি এবং ক্রীড়াপ্রেমী সুধীজনের সমর্থনে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, দখলদারমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো ডি-মার্ক করা হয়েছে। পরে তাদের দুইবার সময় দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের স্থাপনাগুলো নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই সময়ের মধ্যে সরে যায়নি। তাই আজকের এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে গত ২ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে আর কোনো ধরনের মেলা হবে না বলে ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় তার সঙ্গে সিজেকেএস সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আউটার স্টেডিয়ামের যে মাঠ রয়েছে সেটি আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেছি। মাঠের যে অংশটুকু রয়েছে সেটি লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানে লাল খুঁটি দিয়ে দেব। মাঠের ভেতরে যদি কোনো স্থাপনা থাকে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এই জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে।
লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গা ধরে দেখা যায়, সিটি করপোরেশন থেকে যারা ইজারা পেয়েছেন তারা সবাই বাড়তি জায়গা দখল করে রেখেছেন। সেই বাড়তি জায়গাগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠের মধ্যে যেসব স্থাপনা থাকবে সবগুলোই অপসারণ করা হবে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে এক বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসময় সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলায় গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে চট্টগ্রামের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ নিয়ে কাজ করছি, সারা বছর যাতে খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আউটার স্টেডিয়ামের সীমানা নির্ধারণ করে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। এরপর সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে। ওয়াকওয়ের সিস্টেম থাকবে, যাতে বয়স্ক মা-বাবারা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে হলে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ আলাদা আলাদা পাঁচটি অনুশীলন মাঠ প্রয়োজন। বিশেষায়িত মাঠ না হলে ক্রীড়াঙ্গনে প্রকৃত সুফল প্রাপ্তি দুরূহ হয়ে উঠবে। জেলা প্রশাসক এই বিশেষায়িত মাঠের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন।
আশা করছি, খুব দ্রুতই চট্টগ্রাম ফুটবল-হকি ও নারীদের জন্য পৃথক মাঠ পাবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর দিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
এসএস