লকডাউনের দ্বিতীয় দিন, চট্টগ্রামে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী


সকালের-সময় রিপোর্ট  ২৪ জুলাই, ২০২১ ৬:২৪ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। সড়কে নেই তেমন গণপরিবহন, নেই পথচারী, সড়ক ফাঁকা। চট্টগ্রামের দুই প্রবেশ পথ সিটি গেইট ও কর্ণফুলীর মইজ্জার টেকে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করছে সেনা বাহিনীর ৭ পেট্রোল টিমসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পরও লকডাউন দেখতে সড়কে বের হয়েছে সাধারণ মানুষ।

অনেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মেতে উঠেছে আড্ডায়। নগরের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আছে পুলিশের তল্লাশি চেকপোস্টও। তবে একান্ত প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলেই পরিবহন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্কতামূলক মাইকিং করে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা। তবে এবার তাদের মাঠে দেখা যায়নি।

আর এইদিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর নাজমা সকালের-সময়’কে বলেন, চট্টগ্রামে চেকপোস্ট এবং টহল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। নগরের প্রবেশ পথ কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও সিটি গেট মোড়ে অবস্থান করা চেকপোস্টে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামে ২ চেকপোস্ট ছাড়াও মহা-নগরীতে ৭টি টহল টিম কাজ করছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সকালে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। মাঝে মাঝে পথচারী দেখা মিললেও তা হাতে গুণা। অনেকে অফিসগামী। ফলে সড়ক পুরোই ফাঁকা। তাছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। নগরের আন্দরকিল্লা, জামালখান, নিউ মার্কেট, চকবাজরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফাঁকা সড়ক দেখা যায়।

তাছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলার হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, ভুজপুর ও দক্ষিন চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, সাতকানিয়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা থেকে মানুষ শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও তাদের জিজ্ঞাসা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে.. একান্ত প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলেই পরিবহন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। সড়কে কোনো ধরনের গণপরিবহন না থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন রিকশা চালকরা। ৩০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১০০ টাকা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকালের-সময়’কে বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অকারণে কেউ আড্ডা দিলে, ঘর থেকে বের হলেই জরিমানার পাশাপাশি জেলও হতে পারে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ