চট্টগ্রামের ৩১ স্পটে ৩৮ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করবে চসিক


মোহাম্মদ ফোরকান  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ৪:১৪ : অপরাহ্ণ

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে জনসংখ্যা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন এবং সম্প্রসারণ হচ্ছে সড়ক। কিন্তু ব্যস্ত নগরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়-জংশনে নেই প্রয়োজনীয় ফুটওভার ব্রিজ। প্রয়োজনীয় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় বৃদ্ধ, নারী-শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়। তবে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে এবার নগরীর ৩১টি মোড়ে ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

যা চসিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত ডিজাইনের ৭টি ধরণ পছন্দ করেছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা।

যেসব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ বা পদচারী সেতু স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে জিইসি মোড়ে ২টি, মুরাদপুর মোড়ে ১টি, ষোলশহর মোড়ে ১টি, ২নং গেটে ২টি, বহদ্দারহাট জংশনে ২টি, কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড়ে ১টি, অক্সিজেন জংশনে ২টি, টেকনিক্যাল মোড়ে ১টি, লালখান বাজার মোড়ে ১টি, টাইগারপাস মোড়ে ২টি, দেওয়ানহাট মোড়ে ১টি, আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড়ে ১টি, বাদামতলী মোড়ে ১টি, নিমতলা মোড়ে ১টি, অলংকার মোড়ে ২টি, একে খান মোড়ে ১টি, সাগরিকা মোড়ে ১টি, নয়াবাজার মোড়ে ১টি, সল্টগোলা ক্রসিং এ ১টি, সিমেন্ট ক্রসিং এ ১টি, কেইপিজেডে ১টি, কাঠগড় মোড়ে ১টি, রুবি গেটে ১টি, কুলগাঁও স্কুলের সামনে ১টি, সিটি গেটে ১টি, মনসুরাবাদে ১টি, এক্সেস রোডের মুখে ১টি, নাসিরাবাদ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে ১টি, আকবরশাহ মোড়ে ১টি এবং সানোয়ারা স্কুলের সামনে ১টি হবে বলে জানা গেছে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক জানান, ফুটওভার ব্রিজের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন গোলচত্বর ডিজাইন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সাতটি ডিজাইন পছন্দ করা হয়েছে। আরও কিছু দেখে চূড়ান্ত করা হবে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ডিজাইন প্লানিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্টস লিমিটেড’ এর প্রতিনিধি দলের পক্ষে প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলম বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ চট্টগ্রামের যানজট হ্রাস এবং ভবিষ্যতের জন্য নগরীকে প্রস্তুত করতে এ প্রকল্প বেশ সহায়ক হবে।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি মেয়র হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে বদলে দিতে চসিকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের মূল সড়কগুলো প্রশস্ত এবং জনবান্ধব হবে, হ্রাস পাবে যানজট। পথে হাঁটতে মানুষের যে কষ্ট তা লাঘব হয়ে নান্দনিক চট্টগ্রামের পথগুলোতে হাঁটাও একটি বিনোদনের উৎস হয়ে উঠবে।

গতকাল বুধবার আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ডিজাইন প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্টস লিমিটেড’ এর সাথে চসিকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বিআইজিআরএসের গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টানরশিপের (জিআরএসপি) এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলের উপদেষ্টা অ্যল স্টুয়ার্ট, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রোগ্রাম অফিসার সুগান্থি শারাভানান, বিআইজিআরএসের ঢাকা সিটি কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদ, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ ও বিআইজিআরএসের কনসালটেন্টগণ।

সকালের-সময়/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ