খালি কনটেইনার থেকে জীবিত কিশোর উদ্ধার


নিউজ ডেস্ক  ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ৪:১৬ : অপরাহ্ণ

চার মাস না যেতেই এবার মালয়েশিয়ার সমুদ্রবন্দর কেলাংয়ে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া খালি কনটেইনার থেকে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিদেশি জাহাজ ‘ইনটিগ্রা’ কেলাং বন্দরে পৌঁছায় ১৬ জানুয়ারি। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয় ১২ জানুয়ারি। কেলাং বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার পর জাহাজটির কনটেইনারের ভেতর থেকে চিৎকারের আওয়াজ আসে।

বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি দ্রুত জেটিতে ভিড়িয়ে কনটেইনার থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, খালি কনটেইনারেই ওই কিশোর বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে। কারণ সে বাংলায় কথা বলছে। তবে চার দিন কনটেইনারের মধ্যে থাকায় সে দুর্বল হয়ে পড়ায় কথাগুলো অস্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল।

এর আগে গত অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একইভাবে খালি কনটেইনারে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে যাওয়া এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬ অক্টোবর ‘সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজে করে খালি কনটেইনারটি ৯ অক্টোবর পেনাং বন্দরে পৌঁছে। আর খালি কনটেইনারটি চট্টগ্রামের সেই বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে যায়।

পেনাং বন্দর থেকে খালি কনটেইনারটি ১০ অক্টোবর বের করার সময় গন্ধ বেরোলে সন্দেহ হয়। কনটেইনার খুলে বন্দর কর্তৃপক্ষ যুবকের গলিত মরদেহ পায়। এরপর মালয়েশিয়ার পুলিশ এসে লাশটি তদন্তের জন্য নিয়ে যায়; কিন্তু বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

ইনটিগ্রা জাহাজটির দেশীয় শিপিং এজেন্ট কন্টিনেন্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বাংলাদেশ লিমিটেড। বিষয়টি নিশ্চিত করে কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্সের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনারে করেই কিশোরটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে পৌঁছেছে।

কিন্তু সে খালি কনটেইনারে বন্দরের বাইরে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে উঠল, নাকি অন্য কোনো স্থান থেকে এলো আমরা এখনো জানি না। তবে আমরা জেনেছি সে বাংলায় অস্পষ্টভাবে কথা বলছিল।

এস এম ফয়সাল বলেন, আমাদের জাহাজের ক্যাপ্টেন-ক্রুরা ফিলিপাইন ও মিয়ানমারের। ফলে তাঁরা বাংলা বুঝতে পারছিলেন না। জাহাজ থামার পর চিৎকার শোনা গেলে ক্যাপ্টেন বিষয়টি তাত্ক্ষণিক মালয়েশিয়ার পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়েই খালি কনটেইনারটি শনাক্ত করে। পরে জাহাজটি জেটিতে ভিড়িয়ে কনটেইনার খুলে কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, ইনটিগ্রা জাহাজটি কেলাং বন্দরে ভেড়ার শিডিউল ছিল ১৯ জানুয়ারি। কিন্তু কিশোর আটকে থাকার খবর জানার পর জরুরি ভিত্তিতে জাহাজটি ১৭ জানুয়ারি জেটিতে ভেড়ানো হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইনটিগ্রা জাহাজটি কনটেইনার ভর্তি করে ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। খালি কনটেইনারটি সেই জাহাজেই ছিল। আর জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কেলাং বন্দরেই গেছে। মাঝখানে কোনো যাত্রাবিরতি ছিল না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরসচিব ওমর ফারুকে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ