টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ 

বাঁচা মরার লড়াইয়ে আশা জাগিয়ে রাখলো বাংলাদেশ


সকালের-সময় স্পোর্টস ডেস্ক ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩১ : পূর্বাহ্ণ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের চ্যালিঞ্জং স্কোর করে বাংলাদেশ। জবাবে এই রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করতে সক্ষম হয় ওমান।

বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো কিছুর আভাস দেন ওমানের ওপেনররা। তবে ইনিংস বড় করতে দেননি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৩ রানে আকিভ ইলিয়াসকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে পাঠান ফিজ।

এরপর আবারও ওমান শিবিরে আঘাত হানে মোস্তাফিজ। এবার তার শিকার প্রজাপতি। এই ব্যাটার আউট হওয়ার আগে করেন ১৮ বলে ২১ রান। দুই উইকেট হারালেও দারুণ খেলতে থাকে অধিনায়ক জিশান মাকসুদ আর ওপেনার জতিন্দর সিং। ক্রিজে নেমে এই দুই ব্যাটসম্যান গড়ে তুলেন ৩৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। তবে বিপদজনক হয়ে উঠার আগে এ জুটি ভাঙলেন শেখ মেহেদী।

মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেন প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় জিশান। আউট হওয়ার আগে করে ১৬ বলে ১২ রান। মেহেদীর পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে জতিন্দর সিংকে আউট করেন সাকি আলা হাসান। এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার আগে করে ৩৩ বলে ৪০ রান।

এর কিছু পরেই সাইফউদ্দিনের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন সন্দীপ। এরপর সাকিব মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পরে ওমান। ফলে শেষ পর্যন্ত স্কোড় বোর্ডে ১২৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এছাড়া সাকিবের ৩ আর সাইফুদ্দিন-মেহেদি নেন ১ টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি ওপেনার লিটন কুমার দাস। দলীয় ৯ রানে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ ছিলো লিটন। দলীয় ১১ রানে বিল্লাল খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৭ বলে ৬ রান। কিটন আউটের পর ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শেখ মেহদি হাসান। তবে এই ব্যাটসমান চার বল খেলো কোন রান যোগ করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন।

এরপর নাঈম শেখের সঙ্গী হিসাবে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। এই দুই ব্যাটসম্যান ৮০ রানের দারুণ জুটি করেন। কিন্তু দলীয় ১০১ রানে রান আউটে কাটা পরে সাজঘরে ফিরে যায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর দ্রুত রান তুলতে সোহানকে পাঠানো হয়েছিল পাঁচ নম্বরে। কিন্তু দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলেন না এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ঝুঁকি নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সোহান ফিরলেন মাত্র ৩ রানে। ওমানের অধিনায়ক জিসান মাকসুদের বল তুলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে লং অফে ক্যাচ দেন সোহান। এরপর বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার কলিমউল্লাহ। প্রথমে তার শিকার আফিফ। এই ব্যাটসম্যান ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাঈম শেখ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৬৪ রান। শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাট থেকে ১৭ রান ছাড়া আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি। যার ফলে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৫৩।

সকালের-সময়/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ