দুই পরাশক্তির দুর্দান্ত লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের বিদায়–সেমিতে ফ্রান্স


স্পোর্টস ডেস্ক  ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:৪৪ : অপরাহ্ণ

কাতার বিশ্বকাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে গেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় কাতারের আল-বাইত স্টেডিয়ামে ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হয় ইংলিশরা। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে দুই দল সমানে সমান থাকলেও শেষ হাসি হাসে এপবাপ্পে-জিরুডরা। তবে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন যদি প্যানল্টি মিস না করতেন তাহলে হয়তো খেলার ফলাফল অন্যরকম হলেও হতে পারতো।

শুরু থেকেই দুই পরাশক্তির দুর্দান্ত লড়াই উপভোগ করতে থাকে ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুডের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে৷ জিরুডের আক্রমণের ঠিক ৪ মিনিট পরেই ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টিচুয়ামেনি। মাঝমাঠে গ্রিজম্যানের থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি।

এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ২৩ মিনিটে হ্যারি কেইন দারুণ শট নিলে সেটি রুখে দেন লরিস। ২৭ নিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল যার দরুণ পেনাল্টি বঞ্চিত হয় তারা।

৩০ মিনিটে আবারো হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মত গোলের সুযোগ পান এমবাপে। ডিবক্সের ভেতর তার বা পায়ের শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষে ইংলিশদের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। সেই সুবাদে ৫৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইংলিশরা। ডান পাশ থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন সাকা। ডি বক্সের ভেতর শট নিবেন এমন সময় তাকে ফাউল করে বসেন টিচুয়ামেনি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান স্পার্স অধিনায়ক হ্যারি কেইন।

ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ফের একবার এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ সময় অ্যান্তনি গ্রিজম্যানের নেয়া কর্নার কিক থেকে আসা বল হেড করে ইংল্যান্ডের জালে বল পাঠিয়ে দেন ফ্রান্সের সবকালের সর্বোচ্চ গোলকারী ওলিভার জিরুড। ৮৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় ইংলিশরা।

কিন্তু পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন দলনেতা হ্যারি কেইন। ফলে শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ফ্রান্স। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ আফ্রিকার দেশ হিসেবে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা পাওয়া মরক্কো।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ