ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজি মেয়েরা


সকালের-সময়  ৩ এপ্রিল, ২০২২ ৪:৪৬ : অপরাহ্ণ

স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯৮২ সালে এই ক্রাইস্টচার্চেই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সেবার শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। ৪০ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই ঘটল।

রোববার সেই ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া। ৭১ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে অজি মেয়েরা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। এতো বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস।

৩৬৭ রানের তাড়ায় তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ড্যানি ওয়াট। ৫ বলে ৪ রান করে মেগান শুটের বলে বোল্ড হন ড্যানি। সপ্তম ওভারে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। এবারও শুটের আঘাত। ২৬ বলে ২৭ করে এলবিডব্লিউ হন বিউমন্ড। হেথার নাইটকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান জমা করেন বিউমন্ড।

হেথার নাইট অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। ২৫ বলে ২৬ করে এলবিডব্লিউ হন নাইট। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের দাঁড়ায় ৮৬ রান। একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলে যান ন্যাট সিভার। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু সিভারের অর্ধশতকের আগেই তাকে ছেড়ে যান সঙ্গী অ্যামি জোনস। ১৮ বলে ২০ রান করেন জোনস।

এবার সোফিয়া ডাঙ্কলির সঙ্গে জুটি গড়েন সিভার। ২২ বলে ২৩ করে অ্যালেনা কিং-এর বলে বোল্ড হন ডাঙ্কলি। এরপর টেলএন্ডারদের নিয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি সিভার। ডাঙ্কলির পর ব্রান্টকে ফেরালেন কিং। ৪ বলে ১ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাকে স্টাম্প করেন হিলি।

এরপর ১০ বল খেলে মাত্র ৩ করে ম্যাকগ্রার বলে এলবিডব্লিউ হন সোফি একলেস্টোন। ৩৩ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২০৭ রান হয় ইংল্যান্ডের। তখনই জয়ের সুঘ্রাণ আসছিল অসি শিবিরে। এদিকে সিভার শতরান করেন। কিন্তু ততক্ষণে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফেলেছে ব্রিটিশরা। ৩৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২২৩ রান। সিভারের সংগ্রহ তখন ৯৩ বলে ১০৪ রান।

এরপর গার্ডনারের বলে ২৪ বলে ২১ করে আউট হন শার্লট ডিন। এ সময় ১১৯ বলে ১৪৩ করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভার। তবে দশ নম্বর উইকেট পড়ে গেলে থেমে যেত হয় সিভারকেও। ৪৩.৪ ওভারে অ্যানা শ্রুবসোলকে ফেরান জোনাসন। ৪ বলে মাত্র ১ রান করতে পারেন শ্রুবসোল।

এর আগে ইংল্যান্ডের বোলারদের তুলোধোনা করেন অসি অ্যালিসা হিলির। ১৩৮ বলে ২৬ বাউন্ডারিতে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওপর ওপেনার র্যাচেল হাইনেস ও ওয়ানডাউনে নামা বেথ মনিও কম যাননি। র্যাচেল করেন ৯৩ বলে ৬৮ রান। ৪৭ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বেথ মনি।

এ তিন ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেলে অবশ্য বাকি ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। তারা শুধু আসছেন আর গেছেন। তবে যা করে দিয়ে গেছেন টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার। এ তিনজনের ব্যাট থেকেই এসেছে ৩১৮ রান। পরের ৩৮ রান করতেই ২ উইকেটে পড়ে যায়।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১০ ওভারে ৪৬ রানের খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন অ্যানিয়া শ্রুবসোল। ১০ ওভারে ৭১ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছে সোফি একলেস্টন। ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের সেরা অস্ট্রেলিয় ওপেনার অ্যালিসা হিলি।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ