মহামারীতে রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস: মৃত্যু ৫৬৩, আক্রান্ত ২৮ হাজার


সকালের-সময় নিউজ ডেস্ক ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১০:৩৮ : পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাস এখন শুধু চীনেই নয়, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রোগটি মহামারীতে রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৮ হাজার ১৮ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে।

যদিও চীনে নিহত ও আক্রান্তের এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, সে দেশের সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে নেতিবাচক কোনো খবর প্রকাশ করতে চায় না। চীনে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সং ইংজি নামে একজন চিকিৎসক। ১০ দিনের নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর হঠাৎ হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যান ২৭ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।

জানা গেছে, মারা যাওয়া তরুণ চিকিৎসক সং ইংজি চীনের হুনান শহরের গাড়িচালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গের জন্য বীর হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।

চীনের হেংশান প্রদেশের কাইয়ুন শহরের বাসিন্দা ছিলেন সং। তার দুই বছরের বড় বোনকে উহান শহরে দুই সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা আছে। এদিকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ নিয়ে চীনা গবেষকদের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এর টিকা আবিষ্কার নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের দাবিও নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।

ডব্লিউএইচও বলছে, এখন পর্যন্ত এর কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেন, ২০১৯-এনসিওভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস ২৪টি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার । করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

প্রাণ সংহারক এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়তে থাকার মধ্যে চীনের একটি গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই রোগের চিকিৎসার ওষুধ পেয়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজে একদল গবেষক দাবি করেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে ‘বিশেষ অগ্রগতি’ পেয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও তৈরি না হওয়ায় আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। আর হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীর মধ্যে যে উপসর্গগুলো আছে, সেগুলো সারাতেই মূলত চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালাতে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page