নেপালে বিমান বিধ্বস্ত: এই পর্যন্ত ৩৮ নিহত,আরো বাড়তে পারে


১২ মার্চ, ২০১৮ ৫:৫৩ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট::  লাশ আার লাশ নেপালের রাজধানী কাঠামান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৩ জন আহত হয়েছেন যার মধ্যে ১০জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার “১২ মার্চ” বিকেলে নেপাল পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ফ্লাইটটিতে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি এবং একজন মালদ্বীপের নাগরিক ছিলেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।নিহতের মধ্যে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করছে সংবাদমাধ্যমগুলো; যাদের মধ্যে সবাই বাংলাদেশি। নাম পাওয়া যাত্রীরা হলেন- উম্মে সালমা, রকিবুল হাসান, প্রীতিলা রশিদ, নাদিয়া আফরিন চৌধুরী।

এর আগে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজকুমার ছেত্রী জানিয়েছিলেন, আমরা ৮জন নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করতে পারছি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করে হয়েছে। কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়েই দ্রুত বিমানবন্দরে ছুটে আসি। তবে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এখনও হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে ড্যাশ-৮ পিএস ২১১ মডেলের ৭৬ আসনের প্লেনটি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটিতে চারজন ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটক ছাড়াও নেপালের নাগরিক ছিলেন বলে জানা গেছে। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধার কাজ চালায় দমকলসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছুটে যায় সেনাবাহিনীও।

দুর্ঘটনার এখনও কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমাদের ধারণা, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ