বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’, বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত


নিউজ ডেস্ক  ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৪৯ : পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার নাম রাখা হয়েছে ‘মানদৌস। এর কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস-এ’ পরিণত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

এটি বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে ভারতের স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। তাই এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার আশঙ্কা নেই।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালের দিকে স্থলভাগে প্রবেশের সময় মানদৌসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ এবং সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। শনি-রোববার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ