হাটহাজারীসহ হেফাজতের ২৩ মামলার তদন্তে সিআইডি


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ৮:৫৫ : অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারী সোনারগাঁওসহ দেশজুরে হেফাজতের সহিংসতায় ২৩টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সন্ধায় বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে শীঘ্রই সারাদেশে অভিযান চালানো হবে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের একাধিক মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। এরমধ্যে ২০১৬ সালের ৫টি মামলা ও সাম্প্রতিক সময়ের ১৮টি মামলাসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।

‌তিনি আরো যোগ করেন, হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত থেকে মদত ও উসকানি দিয়েছে এবং জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সিআইডি প্রধান ব্রিফিং করবেন বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সহিংসতায় জেরে ডাকা হরতালে সারাদেশে উত্তাল অবস্থার তৈরী হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও সহিংসতা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় হেফাজতের প্রায় ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও শনিবার (১৭ এপ্রিল) মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ