সিনহা হত্যা মামলা: ওসি প্রদীপ ও নন্দ দুলালের জামিন শুনানি ২৭ জুন


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১৩ জুন, ২০২১ ৬:১৮ : অপরাহ্ণ

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এবং উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতের জামিন আবেদন শুনানি আগামী ২৭ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ রোববার দুপুরে আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতের জন্য জামিনের শুনানি করতে চাইলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আগামী ২৭ জুন জামিন শুনানির আদেশ দেন।

গত ৯ জুন এই দুই আসামির পক্ষে ওই আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। তিনি আজ দুপুরে মামলার জামিন শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের পক্ষে জামিনের জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু, আদালত আজ শুনানি না করে আগামী ২৭ জুন তারিখে জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

আদালত থেকে বেরিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা এই মামলার ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামি ওসি প্রদীপের পক্ষে জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু, করোনার কারণে আদালত জামিন আবেদনের শুনানি করেননি। আগামী ধার্য তারিখে আমাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করব। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।

এর আগে ১০ জুন আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী এবং প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরবর্তীকালে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের করা মামলার তিনজন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উপর্যুক্ত মামলায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ