বনজ কুমারের মামলায় এসপি বাবুলের বাবা ও ভাইয়ের জামিন


নিউজ ডেস্ক  ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:০২ : পূর্বাহ্ণ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমান লাবু জামিন পেয়েছেন।

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলায় বাবুল আক্তার গ্রেফতার রয়েছেন। অন্য আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। ১২ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জেলে থাকা বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য অন্য আসামিরা দেশে-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করা হয়। আসামি ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন, যা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।

শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ২ নম্বর আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, ৩ নম্বর আসামি আবদুুল ওয়াদুদ মিয়া ও ৪ নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ১ নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন এ কাজ করেন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ