ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ–৬ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন


নিউজ ডেস্ক  ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ

নাটোরের সিংড়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে দোষীদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. ছাব্বির আহম্মেদ, মো. রেজাউনুল রাব্বি, মো. নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. আতাউল ইসলাম আতাউর এবং মো. রেজাউল করিম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ভিকটিম জরুরি কাজে কলেজের জন্য বের হয়। এসময় পথে পরিচিত আসামি সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীর দেখা হয়। পরে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পেট্রো বাংলা এলাকায় নিয়ে আসে।

সেখানে আসামি নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল ওই কলেজ ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে ভ্যানযোগে কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। রাত হলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার কথা বললে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. আতাউল ইসলাম এবং মো. রেজাউল করিমসহ আরও ২-৩ জন মিলে কলম মির্জাপুর এলাকার ঈদগাঁ মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ২০ অক্টোবর সকালে ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলায় মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এসময় একজন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ