চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা


নিউজ ডেস্ক  ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৫৭ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী টানেলের টাকা নিয়ে গড়িমসি করার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা করা হয়েছে সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) এহসান মুরাদ, ভূমি সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল মুমিন, সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ইমান হোসেন গাজী, মুক্তার হোসেন, আবু কাউসার সোহেল এবং অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বুলু।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মাহনগর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মো. হেমায়েত হোসেন। আদালতে বাদীর বক্তব্য রেকর্ড করে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ অধিগ্রহণকৃত ভূমি মৃত ওমদা মিয়ার সন্তান মো. সাহাব উদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. শাহজাহান, মো. মহিউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোছাম্মৎ মনোয়ারা বেগম, নুর নাহার বেগম এবং মোছাম্মৎ শামসুন নাহার মাধ্যমে বাদী হেমায়েত হোসেন ও মো. ফখরুল ইসলামের (২ নম্বর সাক্ষী) মধ্যে চুক্তিনামা হয়। পরে তারা সেই জায়গায় ৬ বছরে বাদী এবং ২ নম্বর সাক্ষীসহ মিলে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেন।

তাই চুক্তির শর্ত মোতাবেক অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির অর্ধেক সম্পত্তি বাদী এবং ২ নম্বর সাক্ষী পাওয়ার কথা। তবে তাদের বাদ দিয়ে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তিগণ প্রতারণা করে। সেই সম্পত্তি কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজে অধিগ্রহণ হলে ক্ষতিপূরণের টাকা ১ নম্বর আসামির জিম্মায় থাকে। পরে বিষয়টি বুঝে ২ নম্বর সাক্ষী ও বাদী মিলে এহসান মুরাদের (১ নম্বর আসামি) কার্যালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে তারা আবেদন গ্রহণ করেন।

ওই ভূমির পক্ষগণসহ মামলার অপরপক্ষ যোগসাজশে বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষীকে প্রতারিত করার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে পতেঙ্গা এলাকার জনৈক দালাল মো. নোমানের মাধ্যমে আসামিরা অবৈধভাবে ঘুষ দিয়ে জানায় টাকাগুলো অধিগ্রহণকৃত ভূমি বাবদ সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া।

গত ১০ নভেম্বর বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষী আসামিদের কার্যালয়ে এসে তাদের দাখিলকৃত আবেদন এবং ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ দেয়া অর্থের হালনাগাদ অবস্থা জানতে চায়। এসময় আসামিরা বাদীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ