রাঙামাটিতে ব্রাশ ফায়ারে প্রিসাইডিং অফিসারসহ নিহত ৪, আহত ৬


১৮ মার্চ, ২০১৯ ৮:৪০ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় কংলাক ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে ‘৯ কিলো’ নামক স্থানে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ৪ জন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, বাঘাইছড়ি কিশালয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো আমির হোসেন, ভিডিপি সদস্য মো: আল আমিন, বিলকিস ও মিহির কান্তি দত্ত।

স্থানীয়া জানান, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কংলাকে ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ফেরার পথে বাঘাইছড়ির ৯ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় থেকে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বহনকরা গাড়ীর উপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় গাড়ীতে থাকা সকলেই আহত হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে আসে।

এর আগে বান্দরবানের ৭ উপজেলায় সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিত একেবারেই কম ছিল। জেলার সবকটি উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রায় একই চিত্র ছিল। সকালে কয়েকটি কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যা কমেছে অনেক জায়গায়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কিছু ভোট কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের উপস্থিত অন্যান্য জায়গার চাইতে বেশি দেখা গেছে।

বিকেলে থানছি উপজেলায় জনসংহতি সমিতির সমর্থিতদের হামলায় সরকারী মডেল প্রাইমারী কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জন আহত হয়। পরে সেখানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা হলো প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার দিন মোহাম্মদ, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, কৃষি অফিসার রিক্তা চৌধুরী, প্আিইও সহকারী মোঃ কবির ও ভোটার প্রদীপ ত্রিপুরা।

অন্যদিকে জেলা শহরে দুপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন আলোকে মারধোর করে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উত্তর ঘুনধুমে সকালে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে। নির্বাচন নিয়ে পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় পুরো জেলায়। বিজিবি পুলিশ আনসার ও র‌্যাবের পাশাপাশি বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, সদর. লামা ও আলীকদমে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।

বিশেষ করে দুর্গম এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কক্সবাজারের র‌্যাব ১৫ এর সদস্যরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে। সদরের আওয়মী লীগের প্রার্থী একে এম জাহাঙ্গির সকালে ভোট দিয়ে জানান নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে এবং মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিতে আসছে। বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস জানান নির্বাচন শান্তিপূর্ন হলেও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম।

ভোট কেন্দ্রগুলো বেশির ভাগই ফাঁকা। তবে বেলা শেষে হয়তো ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। এবার বান্দরবান ছাড়াও অপর দুই পার্বত্য জেলা রাঙ্গড়ামাটি খাগড়াছড়িতেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা দিয়েছে। বান্দরবানের ৭ উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও নির্বাচনে বিএনপি ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ