সকালেরসময় ডেস্ক :: অনেকটা ছাড় দিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চুক্তি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গতকাল বুধবার দু’দেশের মন্ত্রী ও সচিবদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার পর ‘অ্যারেঞ্জমন্ট’ নামের চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার চুক্তিটি সই হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর একটি বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকের পরই চুক্তি হতে পারে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দফতরের মন্ত্রী খিও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবারের আলোচনা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বুধবার ভালো আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চুক্তিটি সই করার ব্যাপারে আশা করছি।’
গতকাল বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া দুই মন্ত্রীর বৈঠক সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শেষ হয়। তার আগে দুই মন্ত্রী একান্তে লম্বা সময় বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক, মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সুফিউর রহমান এবং স্বরাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার নেপিদোতে আসেম সম্মেলন শেষে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি বলেন, মিয়ানমারে ফিরে আসতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা হবে তা দুই দেশের বৈঠকে ঠিক করা হবে।
এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা বলছেন, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে সেনা সদস্যরা।
রাখাইনে ৩০টি পুলিশ ও সেনা চৌকিতে গত ২৪ আগস্ট রাতে সমন্বিত হামলার পর অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। ওই হামলার জন্য ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের’ দায়ী করে এ অভিযানকে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’ বলে দাবি করে আসছে মিয়ানমারের সেনা ও সরকার।
এদিকে জাতিসংঘ একে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।