সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চার দফা থেকে সরে এখন এক দফায় নেমে এসেছেন। তারা দাবি করেছেন, সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে। এ দাবিতে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা আজ সোমবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামটর, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা রাজধানীর আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও বিক্ষোভ করেন।
বিভিন্ন মোড়ে অবরোধের কারণে যানজটে এক রকম স্থবির হয়ে পড়ে পুরো ঢাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় নগর ভোগান্তি মাত্রা ছাড়ায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থাকতে দেখা গেছে অফিস ছুটির পর ঘরমুখো নগরবাসীকে। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে রাজধানীতে কর্মসূচি চলাকালে গতকাল সন্ধ্যার দিকে সরকারের তরফ থেকে আলোচনার জন্য কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইসলাম ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সারজিস আলমকে শাহবাগ থানায় ডেকে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০ মিনিট আলোচনা শেষে তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার কিছু সময় পরে অবরোধস্থলে ফিরে আসেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর একদল প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে তাদের ডেকে নেওয়া হয়। আলোচনার বিষয়ে আর কিছু বিস্তারিত জানাননি তিনি।
তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো আলাপ বা গোলটেবিল হবে না। আমরা অনেক আলাপ করেছি, আলাপের দিন শেষ হয়ে গেছে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রহসন। এবার আর প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের বলা হচ্ছে, এটা সাব-জুডিশিয়ারি ম্যাটার। নির্বাহী বিভাগের কাছে জানতে চাই, কেন পরিপত্র বাতিল হলো, কেন তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা বাতিল হয়নি। সরকারের কাছে নতুন পরিপত্র জারির সুযোগ রয়েছে। সব গ্রেডে কোটার সংস্কার করতে হবে।
এদিকে আজ সোমবারও সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকাল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
সরকারকে উদ্দেশ করে নাহিদ বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেন। না হয় ১০০ শতাংশ কোটা দিয়ে দেন। ঘোষণা করে দেন– এটা কোটাধারীদের দেশ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আজ কারওয়ান বাজার পর্যন্ত গিয়েছি, কালকে ফার্মগেট পেরিয়ে যাবে আমাদের ব্লকেড। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। সারাদেশে সব স্থানে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড করবেন।
নাহিদ আরও বলেন, আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে কথা বলছি। সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে আন্দোলন করছি।
এখন দাবি এক দফা
কোটা আন্দোলনের চার দফা দাবি থেকে সরে এসে এক দফা ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নাতিপুতি-পৌষ্য কোটাকে অযৌক্তিক কোটা মনে করছি। দাবি মেনে নিলে আজকেই আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।
কোটা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে কোটা আন্দোলনের সপ্তম দিনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি করা উচিত। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়, এটার বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা, এটা তো সাবজুডিস। কারণ, আমরা সরকারে থেকে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ, হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’ গতকাল সকালে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতারা গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
অন্যদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিষয়ক সিদ্ধান্ত আদালতের, আমাদের কিছু করার নেই। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলাদা এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কোটা আন্দোলনের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, খতিয়ে দেখা উচিত।
আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে
রোববার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে একত্রিত হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্বর ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ মোড়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা ৩টা ৫০ মিনিটে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় অবরোধ করেন। পরে এক দল ফার্মগেট, আরেক দল মোতালেব প্লাজা পর্যন্ত যান।
বেলা ১টা ৪০ মিনিটে নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান নেন। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেখানে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, এটি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। আমাদের দাবি একটাই, কোটা বাতিল। তিনি বলেন, সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্রসমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষ শ্রেণিকে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
আগারগাঁও মোড় অবরোধ
শেকৃবি প্রতিনিধি জানান, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা রাজধানীর আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন। সোয়া ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
আন্দোলন চালিয়ে নিতে ‘স্ট্রিট কালেকশনে’ যাবেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। রাস্তা থেকে বা যে যা দেয়, তা নিয়ে আন্দোলনের খরচ চালানো হবে। যে যা পারেন, তা দেওয়ার আহ্বান জানান আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা নাকি ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছি। এত টাকা পেলে আমরা যারা আন্দোলন করছি, তারা একেকজন পাঁচ লাখ টাকা করে পেতাম। তাহলে আমাদের দেশে থাকার প্রয়োজন পড়ত না, আমরা সবাই বিদেশ চলে যেতে পারতাম। তিনি বলেন, আমাদের এ আন্দোলন কৃষক-শ্রমিকদের আন্দোলন, খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলন, ন্যায্যতার পক্ষের আন্দোলন।
সারাদেশে দানা বেঁধেছে আন্দোলন
জাবি প্রতিনিধি জানান, কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ডেইরি গেটসংলগ্ন মহাসড়কটিতে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা প্রধান ফটকে যান।
চবি প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর, ২ নম্বর গেট ও লালখানবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চার ঘণ্টার এ অবরোধে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বাণিজ্যনগরী।
রাবি প্রতিনিধি জানান, কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। পথনাটক, পুঁথিপাঠ, গান, কবিতা পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শুরু হওয়া দুই ঘণ্টার এ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা একাডেমিক কার্যক্রম ও বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করা হবে বলে জানান তারা।
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়া লেভেল ক্রসিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জামালপুরগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। নগরীর আনন্দ মোহন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসসংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক এবং পরে রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। আর বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে রাখেন। নগরের দুটি বাস টার্মিনাল এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় কয়েক ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কুবি সংবাদদাতা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। পাঁচ ঘণ্টার অবরোধে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটিতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।
শাবি প্রতিনিধি জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক আটকিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কর্মসূচির কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যায়। পরে এক দফা দাবি ঘোষণা করে অবরোধ উঠিয়ে নেন তারা।
ইবি প্রতিনিধি জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের দুই পাশে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসএস/এমএফ