Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 118

Warning: Attempt to read property "user_email" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 144

Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 151

বিষয় :

বর্ণের বর্ণালি আয়োজনে বর্ণের ছটা


২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১০:১৮ : পূর্বাহ্ণ

গোটা মাঠের এখানে-সেখানে বাংলা বর্ণ নিয়ে এক বর্ণিল আয়োজন। কেউ মাঠের ওপর রাখা বড় বড় বর্ণ রাঙিয়ে তুলছে নানা রং দিয়ে। কেউ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি বর্ণের ঝলক দেখছে, কেউ কোলে করে আনা শিশুকে বিশিষ্ট লোকদের হাতে দিচ্ছেন হাতেখড়ি, কেউবা শুনছে বর্ণ নিয়ে ‘সিসিমপুর’-এর টুকটুকি আর হালুমের কথা। সব মিলিয়ে এক বর্ণিল আয়োজন রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল কলেজ মাঠে।

কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া থেকে মেয়ে অর্পিতা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মা চিত্রা রহমান। জানালেন, বর্ণ নিয়ে প্রথম আলোর এ আয়োজনে কয়েক বছর ধরেই তিনি আসছেন। প্রতিবারের মতো এবারের সব আয়োজন তাঁকে মুগ্ধ করেছে।

বায়ান্নর আন্দোলনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যেসব স্লোগানে ভাষাসংগ্রামীরা সোচ্চার হয়েছেন, সেসব স্লোগান দেখা গেল মাঠের বিভিন্ন স্থানে। কোথাও ‘বাংলা চাই’, কোথাও ‘উর্দু মানি না’, কোথাওবা ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, যা মনে করিয়ে দেয় ভাষা আন্দোলনের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা।

কথা হয় প্রযুক্তিবিদ মুস্তাফা জব্বারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্ণ নিয়ে কত সুন্দর একটা আয়োজন যে হতে পারে, তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না। সেই শুরু থেকে আমি এ মেলায় আসছি।’ শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কাছে এ মেলা এক অনন্য স্থান বলে মনে করেন তিনি।

একুশের সাদা-কালো পোশাকের ওপর বাংলা বর্ণমালাসংবলিত পোশাক পরে বর্ণমেলায় বেড়াতে এসেছেন চিকিৎসক শওকত হোসেন খান। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে যাহিন আর জাহিয়াও এসেছে তাঁর সঙ্গে। বললেন, ছোট মেয়েকে হাতেখড়ি দেবেন এবার। তবে চার বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে এই মেলায় আসছেন।

ধানমন্ডির বাসিন্দা খোদেজা খাতুনও এসেছেন মেয়ে আরশানকে নিয়ে। তার হাতেখড়ি দেবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে। জানালেন, এবারে বড় পরিসরে এই মেলা করাতে তাঁর অনেক ভালো লাগছে।

মেলার এক পাশে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি বর্ণমালা প্রদর্শন করা হচ্ছে। কেউ কলম দিয়ে ক লিখেছে, চাল দিয়ে লিখেছে চ, চশমা দিয়ে তৈরি করেছে চ বর্ণ। একটি শব্দের চোখ আটকে যায় হঠাৎ। বাবার ছবি দিয়ে বাবা লিখেছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুবাশ্বিরা ইসলাম। সে লিখেছে, ‘বাবা, তোমাকে চিৎকার করে “বাবা” করে ডাকতে ইচ্ছা করছে। কেন চলে গেলে না-ফেরার দেশে।’ ছবিটা দর্শনার্থীদের আবেগপ্রবণ করে তুলছে।

মঞ্চে চলছে নাচ-গানসহ নানা আয়োজন। হঠাৎ মঞ্চ থেকে বলা হলো এখনো ‘সিসিমপুর’-এর হালুম আর টুকটুকি হাজির হবে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা। তারা টুকটুকিকে ডাকতে থাকল। তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে কি আর পারে টুকটুকি! একসময় মঞ্চে হাজির হয়ে মজার মজার কথা বলল সে। পরে এল হালুমও। এভাবে একের পর এক চমক দেখা যাবে বর্ণমেলার মঞ্চে। আর পুরো মেলায় নাগরদোলার মতো মজার মজার আয়োজন তো আছেই!

আরো সংবাদ