২০২৩ সালে সার্বিকভাবে ৭০.৯ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। দুর্নীতির শীর্ষে তিনে রয়েছে যথাক্রমে পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মাইডাস সেন্টারে সেবা খাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ-২০২৩ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতা খানার ৭৭.২ শতাংশ বলেছে, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। ঘুষ আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে। জরিপবর্ষে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ এর এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় খানা জরিপ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর করে আসছে টিআইবি। এই জরিপ ধারণাভিত্তিক গবেষণা নয়, সেবা নিতে গিয়ে যে হয়রানি শিকার হতে হয়, তাদের অভিজ্ঞতা ভিত্তিক এই জরিপ। টিআইবি দুর্নীতি ধারণাসূচক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
১৫৫১৫টি খানার ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়, এতে ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, ভূমি, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং, বিআরটিএ, কর ও শুল্ক, এনজিও, পাসপোর্ট, বীমা, গ্যাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা এবং এনআইডি সেবা।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ শোয়েব, প্রফেসর পিকে মতিউর রহমান, প্রফেসর সিকান্দার এইচ খান, টিআইবির ডিরেক্টর (রিসার্চ এন্ড পলিসি) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, ডিরেক্টর (আউটরিচ এন্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নুরে আলম, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান সখিদার।
এসএস/এমএফ