সকালেরসময় রিপোর্ট :: কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসাব মিলাতে আসিনি আমার একটাই হিসাব দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কতটুকু কাজ করতে পারলাম মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন বিশ্বে সততায় তৃতীয় হওয়া প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করছি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই আমার সরকারের মূল লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা সেসব হিসাব নাই। অনেক সময় এমনও দিন যায় যে হয়তো রাতে তিন ঘণ্টা, সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ১৬ কোটি মানুষের মাত্র ৫৪ হাজার বর্গমাইলের মধ্যে যদি অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের দেশ চালাতে হতো, তাহলে তাদের অবস্থা কী হতো, সেটা বোধহয় আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে কখনো ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল না। প্রতিবারই বাধা এসেছে। আবার আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। আন্দোলন করতে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে। সেই গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়েই কিন্তু আজকে দেশের উন্নতি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে কী পেয়েছি? পেয়েছি মিলিটারি ডিক্টেটর, মিলিটারি রুল, অনিয়ম, অবিচার, অত্যাচার। যার কারণে দুর্নামের এখনো ভাগিদার হতে হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে সততার সাথে দেশ চালাতে চেষ্টা করছি। একটা কথা মনে রাখবেন, মাথায় পচন ধরলে সারা শরীরেই ধরে, যেহেতু মাথায় পচন নাই, তো শরীরের কোথাও যদি একটু আধটু ঘা-টা থাকে ওগুলো আমরা সেরে ফেলতে পারব। ওই রকম যদি দুর্নীতি হতো, তাহলে দেশের জিডিপি সাত দশমিক ২৮ ভাগ হতো না।’
সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম জানান, ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস নামের একটি সংস্থার জরিপে বিশ্বের ১৭৩টি দেশের সরকারপ্রধানের সততায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে তালিকার তিন নম্বরে। এতে প্রথমে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুন।’
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যক্তিগত সম্পদ, গোপন সম্পদ, সরকারপ্রধানের দুর্নীতি আর দেশের মানুষ কী ভাবেন এই পাঁচটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে তালিকাটি করা হয়। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে কী পেয়েছেন না পেয়েছেন সে হিসাব মেলান না তিনি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি যারাই করুক তাতে আমার দেশের সম্মান বেড়েছে, এটাই পাওনা।’