

এক হকারকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, চড়-থাপ্পড়, লাথি মারা, নগদ টাকা লুট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে নগরীর আকবর শাহ থানায় ১৪৩, ৩২৩, ৩৭৯, ৩৮৫ ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগ এনে জসিমসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী হকার অপু প্রধান। হকার অপু প্রধানের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার মৌমারী বাজারে। তিনি বর্তমানে আকবর শাহ থানাধীন মালিপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ক্রোকারিজ, সিরামিকস্ ও মুদি মালামাল বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকেন অপু প্রধান। তিনি গত ১৭ মে আকবর শাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার এইচ ব্লক মোড়ে বেচা-বিক্রি শুরু করেন।
সেখানে কাউন্সিলর জসিমসহ অন্যান্য আসামিরা ‘তুই নাকি লটারি দিয়েছিস’ এ কথা বলে কোনো উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে এলোপাতাড়ি চড়, থাপ্পড়, লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। চিৎকার করে গালিগালাজ করে বলতে থাকেন ‘কার পারমিশন নিয়ে আমার এলাকায় ব্যবসা করতেছস। আমার এলাকায় ব্যবসা করতে হলে আমার অনুমতি লাগবে। হাদিয়া/চাঁদা ব্যতীত কোনো ব্যবসা করা যাবে না।
এলাকার সকল ব্যবসায়ী চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, তুইও দিবি। এই সময় আসামিরা তার গায়ে থাকা টি শার্টের কলার চেপে ধরে টেনে লাথি, কিল, ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে। পরে পরে টহল পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় আসামিরা তার ক্যাশে থাকা নগদ টাকা পয়সা নিয়ে নেয় এবং বেশ কিছু মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করে।
এর আগে গত বুধবার হকার অপু প্রধানকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের পূর্ব ফিরোজশাহ এইচ লেইন মোড়ে হকার অপু প্রধানকে পেটাচ্ছেন কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম। মারধরের এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। এবং পুলিশের সামনেও পেটান। হকার অপুর ভ্যানে থাকা ক্রোকারিজের জিনিসপত্র ভ্যানের পাশে ছাড়ানো-ছিটানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে দোকানদার ও পথচারীর মাঝে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, গতকাল রাতে হকার অপু প্রধান বাদি হয়ে কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমরা সেটির তদন্ত করছি।
এসএস