নৌ বাণিজ্য দপ্তর চট্টগ্রামে নব নির্মিত কনফারেন্স রুমের শুভ উদ্ধোধন ও সেবার মান বৃদ্ধি সহ দ্রুততার সাথে অংশীজনদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। বার্ষিক রাজস্ব খাত ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার একটি মাইলফলক এই নৌ বাণিজ্য দপ্তর।
চট্টগ্রামের নৌ বাণিজ্য দপ্তরের দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মোঃ গিয়াসউদ্দিন আহমেদের নের্তৃত্বে এই দপ্তরের প্রতিটা কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রানবন্ত পরিবেশে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বপালন করছেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমে দক্ষ হাতে পরিচালনা করার ফলে নৌ বাণিজ্য দপ্তর একটি সফল দপ্তর হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২০২৩ (এপিএ) সাইনিং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন মাননীয় মহাপরিচালক কমডোর এ জেড জালাল উদ্দীন সি, সিপিজি, এনডিসি, পিএসসি বিএন।
জানা যায়, বিগত বছরের তুলনায় বাৎসরিক সার্ভে, রেজিস্ট্রেশন, নাম মালিকানা পরিবর্তন, ডুপ্লিকেট ইস্যুকরণ, ইঞ্জিন পরিবর্তন, মর্টগেজ রেজিস্ট্রেশন, মর্টগেজ খালাস, জাহাজের সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে এখানে। যা মাইল ফলক এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে এই দপ্তরটি। এখানে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, এবং সরকারের সুনাম দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ পতাকাবাহী বিদেশগামী জাহাজ, ট্যাংকার, কোস্টাল, ফিশিং ট্রলার, থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকারও অধিক। দেশের প্রতিটি বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে দেশী ও বিদেশী।
বিগত ২০১৯ সালে ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দীন আহমেদদ প্তর প্রদান হিসেবে নৌ বাণিজ্য দপ্তরে যোগদান করার সময় বিদেশগামী বাংলাদশে পতাকাবাহী জাহাজের কার্যক্রম অনলাইনে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। নৌ বাণিজ্য দপ্তরের সকল স্টোক হোল্ডারগণদের প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানে অত্র দপ্তর সদা অঙ্গীকারবদ্ধ।
নৌ বানিজ্য দপ্তর চট্টগ্রামের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং অনলাইনের মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী পতাকাবাহী জাহাজের বিপরীতে সার্ভের আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এখানে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাসহ আরও উল্লেখ্য যে, নৌ বাণিজ্য দপ্তর চট্টগ্রামের ন্যায় নৌ বাণিজ্য দপ্তর খুলনাতেও উন্নয়নের অক্সিজেন খ্যাত সরকারী রাজস্ব আদায়ের পরিমানও বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে যা বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন মোঃ গিয়াস উদ্দিনের আন্তরিকতায়।
আরো জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুফল সাধারণ মানুষের দরজায় পৌছেঁ দিতে অত্র দপ্তর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এ দপ্তরের দাপ্তরিক কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান জনবলের সুষ্ঠু ও যুগোপযোগী নৌযানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৩টি। যা বর্তমানে বেড়ে ৮৫টি-তে উন্নীত হয়েছে। অথ্যাৎ বিগত আড়াই বছরে বাংলাদেশে পতাকাবাহীজা হাজের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।এবং অর্থনীতিতে মাইল ফলক ও স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বোচ্চ রেকর্ড। যা অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নৌ বাণিজ্য দপ্তরের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে।
অদ্য ২১ জুন ২০২২ তারিখে নৌ বানিজ্য দপ্তর চট্টগ্রাম এর সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২০২৩ তুলে ধরেন প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন মো: গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কাজে যোগদানের পর হতে অনলাইনে বিদেশী পতাকাবাহী জাহাজের সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে শিপিং এজেন্টগণ তাদের অফিসে বসে অনলাইনে এনওসি, ওয়েভার ও পিএসসি সার্ভের আবেদন করে যাচ্ছেন।
বলা যায়, এই দপ্তরের প্রতিটা কর্মকর্তা ও কর্মচারী দপ্তরের নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুনাম রক্ষার্থে সবসময় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
উন্নয়নের অক্সিজেন খ্যাত সরকারি রাজস্ব বহুগুণে বৃদ্ধি এবং সরকারী সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনী ইশতেহার পুরনে অত্র দপ্তর তথা নৌপরিবহন অধিদপ্তর সব সময় আন্তরিক। এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এর চুক্তি সমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এবং সরকারী রাজস্ব আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য নৌ বাণিজ্য দপ্তর অগ্রনী ভূমিকা রাখছে।
সকালের-সময়/ফোরকান