জাল সনদে সরকারী চাকরি—ফেঁসে গেলেন চসিকের প্রকৌশলী


নিজস্ব প্রতিবেদক ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১:৪৪ : পূর্বাহ্ণ

জাল সনদ ব্যবহার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। আমির আবদুল্লাহ খান নামে ওই প্রকৌশলী প্রকৌশল বিভাগের বিদ্যুৎ শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত। আব্দুর রহিম ও আব্দুল আওয়াল নামে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে দুই ব্যক্তি এ অভিযোগ আনেন।

অভিযোগ তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশন-২ শাখার উপসচিব খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রকৌশল বিভাগের বিদ্যুৎ শাখায় নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমির আবদুল্লাহ খান ডিপ্লোমা পাশ না করেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

জানা যায়,  আমীর আবদুল্লাহ খান চসিকের অঞ্চল-৪ এর অধীনে ওয়ার্ড নং ২৩,২৪,২৭,২৮,২৯,৩০, ও ৩৬ দেখা শুনার দায়িত্বে আছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমির আবদুল্লাহ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

অভিযোগের সূত্র ধরে নিয়োগের আগে সনদ যাচাই করা হয়েছিল কিনা জানতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে চসিক সূত্রে জানা গেছে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমীর আব্দুল্লাহ খানের জাল সনদের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চসিক। এতে চসিকের আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদকে আহ্বায়ক, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মদ রাশেদা আক্তারকে সদস্য সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা-১ মো. রেজাউল করিমকে সদস্য করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন। তিনি বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমীর আব্দুল্লাহ খানের বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এসএস/এমএফ

আরো সংবাদ