চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে গত ৩০ দিনে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে করে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, টানেলে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। টানেলে ১২ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে। টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে প্রাইভেটকার, জিপ ও পিকআপকে দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের ২৫০ টাকা, ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের জন্য ৪০০ টাকা, ৫ টনের ট্রাকে ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে।
এছাড়া ট্রেইলরের (চার এক্সেল) টোল দিতে হয় ১০০০ টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য দিতে হয় ২০০ টাকা করে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা বলেন, প্রথম ৩০ দিনের হিসেবে টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে যানবাহন চলেছে ৫ হাজার ৭০৪টি। দিনে গড়ে টোল আদায় হয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৬৮ টাকা।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেলের যাত্রা শুরু হয় গত ২৮ অক্টোবর। ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে চার হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে চীন। এ প্রকল্পের জন্য ২ শতাংশ হারে ২০ বছর মেয়াদি ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টায় সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হয় টানেলের দ্বার। সাধারণের চলাচলের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় হয়েছিল ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা।
এসএস/তনয় চৌধুরী