

একসময়কার শীর্ষ জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এখন দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা নেয়ার পরও একে একে আবার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপির তালিকায় নাম উঠছে।
এবার ঢাকা ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা খেলাপি হয়। এর আগে ব্যাংক এশিয়ায় হয় ৫০৫ কোটি টাকা। এরপর ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখায় হয় ৮৯৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে অন্যান্য আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আতঙ্কে আছে।
ঢাকা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা সূত্রে জানা যায়, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড নিয়মিত ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। যদিও সরকার ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেয়। গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের কাছে খেলাপি পাওনার পরিমাণ ৯৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৭ টাকা।
আর এ পাওনার বিপরীতে বন্ধকি হিসেবে রয়েছে হেড অফিসের মোট চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের অফিস এবং ওয়েস্টার্ন ক্রুজ নামে একটি জাহাজ। আর এ বকেয়া পাওনা আদায়ে আগামী ৫ অক্টোবর আগ্রাবাদ অফিসে নিলামের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এতে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
অন্যদিকে ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এ ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ৮৯৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আছে। এছাড়া ব্যাংক এশিয়ায় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের খেলাপি দেনার পরিামণ ৫০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর এ পাওনার কারণে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে গত বছরের শেষদিকে মামলা করা হয় (মামলা নং ৬০০/২২)।
এ বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ঋণ নিয়ে খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছি। কেননা ব্যাংক খাতে ঋণের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও ঋণের পাওনা পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে জানার জন্য ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংসদে প্রকাশিত শীর্ষ ২০ খেলাপি তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। প্রতিষ্ঠানটির মোট ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ৫২৯ কোটি টাকা খেলাপি।
সূত্র—এসবি/এসএস/এমএফ