স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরেই গ্রেফতার সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক  ২২ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৩৪ : অপরাহ্ণ

১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার পরই গ্রেফতার হলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। গ্রেফতারের পর তাকে আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার। তবে অনেকেরই ধারণা, থাকসিনের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের জন্য তাকে কারাগারে রাখা হবে।

দেশে ফিরে রাজার প্রতি শ্রদ্ধা জানান থাকসিন সিনাওয়াত্রা, এর কিছুক্ষণ পরই তাকে পুলিশ পাহারায় সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আরো কিছু ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়। যাকে তিনি ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বর্ণনা করে আসছিলেন।

১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশে ফিরেন থাকসিন। তার দেশে ফেরার ঘোষণা আসতেই লাল পোশাক পরে সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন। তবে আগেই জানানো হয়, দেশে ফিরলে গ্রেফতার হবেন থাকসিন।

৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন ২০০১ সালে। এরপর ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

‘দুর্নীতির’ মামলায় কারাগার এড়াতে ২০০৮ সালে থাকসিন দেশ ছাড়েন। তারপর থেকে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাস করছিলেন। একই বছর ওই মামলায় থাকসিনের আট বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। যদিও এসব মামলাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে আসছেন।

গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্নের দল ফেউ থাই দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এর আগের অবস্থানে রয়েছে পিটা লিমজারোয়েনরাতের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি । কয়েক ঘণ্টা পরই থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ভোটাভুটি হবে। তেমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দেশে ফিরলেন এ রাজনীতিবিদ।

এসএস

আরো সংবাদ