রাশিয়ার ‘বিদ্রোহী’ ওয়াগনার প্রধানের আত্মসমর্পণ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ২৫ জুন, ২০২৩ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ

দুই দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা ভ্লাদিমির পুতিন নিজ ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছেন। প্রথমে চরম মূল্যের হুমকি দিলেও ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী—চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাশিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন না প্রিগোজিন। তিনি বেলারুশে নির্বাসিত হচ্ছেন। নাটকীয় এ বিদ্রোহ ইউক্রেনে চলমান ১৬ মাসের যুদ্ধ খানিকটা হলেও বদলে দেয়। শুধু ভাড়াটে সেনারাই ময়দান ছাড়েনি, রাজধানী রক্ষার জন্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

পুতিনের ঘনিষ্ট মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এই অচল অবস্থার সমাপ্তি ঘটে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ঘোষিত চুক্তির অধীনে প্রিগোজিন প্রতিবেশী বেলারুশে যাবেন। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে। বিদ্রোহে অংশ নেয়া সৈন্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হবে না। যারা যোগ দেয়নি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে।

অবশ্য পুতিন শপথ করে বলেছিলেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিলেন তাদের শাস্তি দেবেন। ওয়াগনার বাহিনী মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দপ্তর দখল করে নিয়েছিল। ওই সময় জাতির উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে এই বিদ্রোহকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করেছিলেন পুতিন।

পেসকভ বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ লক্ষ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরে রক্তপাত ও সংঘর্ষ এড়ানো। আলোচনার পর রোস্তভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেন প্রিগোজিন। মস্কোগামী সৈন্যদেরও থামান তিনি। সবাইকে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে গতকাল শনিবার (২৪ জুন) শহরটি ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় প্রায় তিন হাজার চেচেন সৈন্যকে ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল। ওই সময় মস্কো থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ওয়াগনার গ্রুপ। প্রিগোজিনের দাবি করেছেন তারা বিদ্রোহ করেননি। শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন। শোইগুর নির্দেশে তার বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ এনে যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়েন প্রিগোজিন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ