যুক্তরাষ্ট্র যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয় তবে মার্কিন ভূখণ্ডে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান। বুধবার ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার হামলা চালিয়েছে তেহরান। বুধবার সকালের দিকে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকির মাঝে এই হামলা চালালো তেহরান। পেন্টাগন বলছে, ইরাকে মার্কিন সামরিক ও মিত্র বাহিনীর ওপর এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিশোধমূলক এই হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো আরও ভয়াবহভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে পর পর দু’বার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সূচনা হলো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই তেহরান বলছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার জবাব দেয় তবে সরাসরি মার্কিন ভূখণ্ডে হামলা চালানো হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় দুবাই এবং ইসরায়েলেও বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয় তাহলে দুবাই এবং ইসরায়েলেও হামলা চালানো হবে।