পাকিস্তান-আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত অর্ধশত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ২৪ জুলাই, ২০২৩ ১১:০০ : পূর্বাহ্ণ

আকস্মিক বন্যার কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই দেশের আরও কয়েকজন। এদের মধ্যে বন্যায় আফগানিস্তানে ৩১ জন ও পাকিস্তানে ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তালেবানের নিযুক্ত মুখপাত্র শফিউল্লাহ রহিমি রোববার বলেছেন, গত তিন দিনের বন্যায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ জন। এ ঘটনায় ৪১ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, আকস্মিক বন্যা রাজধানী কাবুল, ময়দান ওয়ারদাক এবং গজনি প্রদেশে আঘাত হেনেছে। নিহতদের বেশিরভাগই পশ্চিম কাবুল ও ময়দান ওয়ার্দাকের নাগরিক। বন্যায় প্রায় আড়াইশ গবাদিপশু মারা গেছে বলেও জানান তিনি।

ইতিমধ্যেই বন্যা ভুক্তভোগী আফগানিস্তানে আরও দুর্দশা নিয়ে এসেছে। এপ্রিলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি তার টানা তৃতীয় বছর ধরে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। পরে গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে গেছে। বর্তমানে দেশটির যে দুর্দশা তা কয়েক দশকের যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিণতি।

প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যায় শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। নিখোঁজরা ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে শত শত বর্গমাইল কৃষি জমি ভেসে গেছে। কাবুল ও মধ্য বামিয়ান প্রদেশের মধ্যবর্তী মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

অপরদিকে, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের ঘটনায় নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশ অফিসার রাজা মির্জা হাসানের মতে, গিলগিট বাল্টিস্তান অঞ্চলের স্কারদু এলাকায়, একটি বিশাল ভূমিধসের সময় তাদের গাড়িতে চার পরিবারের সদস্য মারা যান।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র তৈমুর খান বলেছেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অন্তত ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ চিত্রাল জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ২৫ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬ জন নারী এবং ৪২ শিশুসহ ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। ২০২২ সালে বর্ষা মৌসুমে রেকর্ড বন্যা সাময়িকভাবে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ মারা যায়।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ